স্টারলিংকের উদ্দেশ্য কেবল গ্লোবাল কানেক্টিভিটি নয়। একইসাথে হাই-স্পিড, লো-ল্যাটেন্সি, নেক্সট-লেভেল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি নিশ্চিত করাও এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

বিশ্বকোষের আজকের ভিডিওতে আমরা স্টারলিংকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জানবো ।

SpaceX-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও এলন মাস্ক আশা করেন, স্কাইনেট-এর মাধ্যমে গিগাবিট স্পিডে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে, এবং এর ল্যাটেন্সি হবে অনেক কম। শুরুর দিকে স্কাইনেটের ল্যাটেন্সি হবে ২৫ মিলিসেকেন্ডের আশেপাশে, এবং পরবর্তীতে সেটা ১০ মিলিসেকেন্ড কিংবা তারও নিচে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ল্যাটেন্সি (latency/Ping) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে লো-ল্যাটেন্সি হাই-স্পিড ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখা দেবে।
সবই নাহয় বোঝা গেল, কিন্তু এই ল্যাটেন্সি ব্যাপারটা আসলে কী?
ল্যাটেন্সি হচ্ছে মূলত একটি কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটারের সাথে কত দ্রুত সংযুক্ত হতে পারছে, কিংবা কত দ্রুত একে অপরকে রেসপন্স করতে পারছে, তার একটা পরিমাপ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ল্যাটেন্সি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ধরুন, আপনি অনলাইনে মাল্টি-প্লেয়ারে আপনার বন্ধুর সাথে গোলাগুলির কোনো গেম খেলছেন। আপনার ইন্টারনেট স্পিড যথেষ্ট ভালো, কিন্তু লেটেন্সি অনেক বেশি। তো এক্ষেত্রে যেটা হবে, হয়তো আপনি আপনার শত্রুকে দেখামাত্রই গুলি করলেন, কিন্তু আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের যেহেতু ল্যাটেন্সি বেশি, তাই আপনার গুলি করার নির্দেশটা সার্ভারে গিয়ে পৌঁছাতে কিছু সময় লাগবে। আর এই সময়টুকুর মাঝেই হয়তো আপনার শত্রু সরে গিয়ে আপনাকেই গুলি করে বসে আছে! জেতার কথা ছিল আপনার,অথচ আপনিই হেরে বসে আছেন!
বোঝা গেল কি বিষয়টা? এরকম শুধু গেমের ক্ষেত্রেই না, আরো অনেক অনেক ক্ষেত্রেই ল্যাটেন্সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়।
অনলাইন গেমিং (যেটার ভবিষ্যতে মারাত্মক রকমের চাহিদা এবং বাজার সৃষ্টি হবে), স্টক এক্সচেঞ্জ, লাইভ স্ট্রিমিং ইত্যাদি বিষয়গুলোতে ল্যাটেন্সি অনেক মেজর এবং ক্রিটিক্যাল একটা ইস্যু। এছাড়াও, ভবিষ্যতে আইওটির মতো রেভল্যুশনারি টেকনোলজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও নিরবচ্ছিন্ন লো-ল্যাটেন্সি হাই-স্পিড ইন্টারনেট অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
তাই স্টারলিংকের মাধ্যমে হাই-স্পিডের পাশাপাশি লো-ল্যাটেন্সি ইন্টারনেটও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর এত কিছুর পরও স্টারলিংক হবে সস্তা, সহজলভ্য এবং ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি। তথা, ইন্টারনেট হবে সর্বজনীন!