গুগলের লাইভ ট্র্যাফিক আপডেট যেভাবে কাজ করে | How Google Live Traffic Works


 

গত সপ্তাহে ঢাকায় চালু হয়েছে গুগল ম্যাপের লাইভ ট্র্যাফিক আপডেট সুবিধা। কোন রাস্তায় কতক্ষণ জ্যামে বসে থাকতে হবে তা গুগল ম্যাপে দেখা যাবে নতুন এই ফিচারটির মাধ্যমে। এমনকি আপনার আশেপাশের রাস্তায় যদি হঠাত জ্যাম বেড়ে যায়, তখন গুগল ম্যাপস স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনে নোটিফিকেশন দেখাবে যে আপনার কাছাকাছি ট্র্যাফিক জ্যাম বেড়ে গিয়েছে। ঢাকায় গুগল ম্যাপস ওপেন করলেই রাস্তার তাৎক্ষণিক ট্র্যাফিক স্ট্যাটাস দেখা যাচ্ছে। তো, কীভাবে কাজ করে গুগল ম্যাপের চমৎকার এই ফিচারটি? কোথা থেকে গুগল এই লাইভ ট্র্যাফিক আপডেট পায়? উত্তরটা জানব এখনই।

গুগলকে লাইভ ট্র্যাফিক ডেটা দেয়ার জন্য আপনি আমি অনেকেই আছি। আমাদের ফোন থেকেই গুগল এই জ্যামের খবর পায়। কি, অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু ঘটনা সত্যি। যেসব এন্ড্রয়েড ফোনে লোকেশন সার্ভিস বা জিপিএস চালু করা থাকে, সেগুলো থেকে গুগল অ্যানোনিমাস রিয়েল-টাইম ট্র্যাফিক ডেটা সংগ্রহ করে। আর যাদের আইফোন আছে, তারা যখন গুগল ম্যাপস ব্যবহার করেন তখন তাদের কাছ থেকেও লাইভ ট্র্যাফিক ডেটা পায় গুগল।

চলতি পথে আপনি যদি জিপিএস/লোকেশন সার্ভিস চালু রাখেন, তবে আপনার চলার গতি এবং কতক্ষণ পর পর কোথায় কোথায় থামছেন তা বুঝতে পারে গুগল। এভাবে আপনার ঐ একই পথে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের ফোন থেকেও লাইভ ডেটা নিয়ে গুগল ম্যাপস সেখানকার তাৎক্ষণিক ট্র্যাফিক স্ট্যাটাস প্রায় নির্ভুলভাবে অনুমান করে ম্যাপে উপস্থাপন করে।

গুগল শুধু আপনার-আমার কাছ থেকেই ডেটা নেয়না। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ যেমন উবার, পাঠাও প্রভৃতি গুগল ম্যাপস নির্ভর সেবা থেকেও আরও নির্ভুল এবং রিয়েল-টাইম ট্র্যাফিক ডেটা পায় এই ওয়েব জায়ান্ট। এর ফলে লাইভ ট্র্যাফিক আপডেট ছাড়াও গুগল কোনো এলাকার দীর্ঘমেয়াদি ট্র্যাফিক প্যাটার্ন বুঝে সে অনুযায়ী পুর্বাভাস দিতে সক্ষম, যে কোন দিনের কোন সময়ে উক্ত এলাকায় জ্যাম কম/বেশি থাকে। তবে আপনি যদি গুগলকে রিয়েল-টাইম ট্র্যাফিক ডেটা না দিতে চান, তাহলে ফোনের লোকেশন সার্ভিস/জিপিএস বন্ধ করে রাখতে হবে। অবশ্য সকল ব্যবহারকারী এটা করলে লাইভ ট্র্যাফিক আপডেটের নির্ভরযোগ্যতা কমে যাবে, কারণ তখন আর গুগল এত এত রিয়েল-টাইম ডেটা পাবেনা।

জেনে রাখা ভাল, গুগল ম্যাপে রাস্তায় লাল দাগ দেখানোর মানে হচ্ছে জ্যাম, কমলা রঙের দাগ দেখলে বুঝতে হবে মাঝামাঝি জ্যাম, এবং সবুজ দেখলে বুঝে নেবেন কোনো জ্যাম নেই। লাল রঙের মাত্রা বেশি মানেই বেশি সময় ধরে আপনাকে জ্যামে বসে থাকতে হবে (যদি পায়ে হেঁটে যান, সেটা ভিন্ন কথা)।

Post a Comment

0 Comments